১। একা থাকা বন্ধ করতে হবেঃ দিনে—রাতে কখনওই একা থাকবেন না। একান্তই কাউকে না পেলে দরজা—জানালা খোলা রাখুন, নিজেকে আড়ালে রাখবেন না। রাতেও একা ঘুমাবেন না।
২। মোবাইল ফোন থেকে দুরত্বঃ নেট দুনিয়া ও ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস অর্থাৎ মোবাইল, ল্যাপটপ, টিভি এসব থেকে কিছুদিনের জন্য দূরে থাকুন। বাটন ফোন ইউজ করুন।
৩। বাছাই করে বই পড়ুনঃ অশ্লীল ও অশালীন রোমান্টিক গল্প—উপন্যাস, পত্রিকা কিংবা ম্যাগাজিন পড়া থেকে বিরত থাকুন।
৪। ব্যাস্ত থাকাঃ নিজেকে প্রচুর ব্যস্ত রাখুন। ব্রেইনকে কাজ দিন। সে অলস থাকতে পারে না। কাজ দিলে করবে, কাজ না দিলে এদিক—ওদিক ঘুরবে। আর ঘুরে ফিরে সেই অন্ধকারেই পা বাড়াবে।
৫। পরিশ্রম করার চেস্টা করাঃ শারীরিক পরিশ্রম করুন। ব্যয়াম বা খেলাধুলা করুন।
৬। ভালো বই পড়াঃ দ্বীনি বই—পত্র পড়ুন। শিক্ষনীয় ও ইসলামী গল্প—উপন্যাস পড়ুন।
৭। বাজে বন্ধু ও বাজে মানুষদের থেকে দুরত্ব বজায় রাখাঃ বাজে বন্ধু ও অশ্লীলভাষীদের এড়িয়ে চলুন।
৮। পরিবেশ পরিবর্তন করাঃ এজন্য সবচেয়ে সহজ ও উত্তম হয় কিছুদিনের জন্য তাবলীগে চলে গেলে। ৪০ দিন, ১২০ অথবা যতদিন সুযোগ হয় সময় লাগিয়ে আসুন। ভিন্নমতের হলে অন্যকোথাও বেড়িয়ে আসুন। প্রিয়দের সাথে দর্শনীয় কোথাও ঘুরে আসুন।
৯। নামাজ আদায়ঃ নিয়মিত নামায—তিলাওয়াতে মন দিন।
১০। জরিমানা বা শাস্তির ব্যাবস্থাঃ প্রতিবার মিসিং—এর জন্য নিজের প্রতি ফাইন ধরুন। যেমন— একবার ওসব করলে বা দেখলে ১০ রাকাত নামায ফাইন। অথবা ৫০০/১০০০ টাকা ফাইন। পরে সেটা সদকা করে দিন।
১১। নিজের সাথে জেদ করুনঃ সবচেয়ে বড় কথা হলো, প্রতিজ্ঞা করুন, শয়তানকে চ্যালেঞ্জ করুন, আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে দু’আ করুন, এভাবে যতবার হয়ে যায় ততবারই করুন, হতাশ হবেন না, বেঁচে থাকা অবধি হাল ছাড়বেন না। একসময় জিতে যাবেন।
তাছাড়া এর সবচেয়ে সহজ সমাধানে সয়ং আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, যার অর্থ— “হে নবী! আপনি মুমিনদেরকে বলে দিন, তারা যেন তাদের চক্ষুকে নিম্নগামী রাখে।” অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
বইঃ রিমেডি
লেখকঃ জাফর বিপি