আপনি যদি আপনার কাজে অমনোযোগী থাকেন অথবা আপনার কাজে বাঁধা দেয় এই ধরনের বিষয় গুলো কোনো ভাবেই এড়িয়ে যেতে না পারেন কিংবা আপনার কাজে কতুটুক অগ্রগতি হচ্ছে সে টি পর্যবের্যবেক্ষণ করতে না পারেন তাহলে আপনার ফোকাস ঠিক করতে মনোযোগ দেয়া উচিত।
যে কোনো একটি বিষয়ে বা কাজে মনোনিবেশের শক্তিই হচ্ছে ফোকাস। যে কোনো কাজে সফল হতে চাইলে সেই কাজে আমাদের পুরোপুরি মনোযোগ দিতে হয় অথবা ফোকাস করতে হয়। তাই আমরা যদি কোনো কাজ সুন্দর ভাবে করতে চাই তাহলে সেই কাজে সম্পুর্ন ভাবে মনোযোগী হতে হবে । কোনো কাজ দীর্ঘক্ষর্ঘণ ধরে করলে মনোযোগ হারিয়ে যায়। খুবই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু সফল হতে চাইলে কর্ম জীবনে , ছাত্রজীবনে , ব্যাক্তিগত জীবনে সব সময় আমাদের ফোকাস ঠিক রেখে কাজ করতে হয়। এখন কথা হচ্ছে মনোযোগ ধরে রাখাটা তো বেশ কঠিন। হ্যা, মনোযোগ ধরে রাখাটা বেশ কঠিন কিন্তু অসম্ভব কিছু না।
আসুন জেনে নেই কি ভাবে আমরা আমাদের ফোকাস ধরে রাখতে পারি বা মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পারি ?
১) মোবাইল ফোন দূরে রাখতে হবেঃ আমাদের মোবাইল ফোনটি সব সময় আমাদেরকে কাজে ফোকাস করতে বা মনোযোগী হতে সবচেয়ে বেশি বাঁধা প্রদান করে । তাই গুরুত্বূপর্ণ কাজ শুরু করার পূর্বে আমাদের ফোনটি কিছু সময়ের জন্য দূরে রাখতে হবে এবং সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিরত থাকতে হবে ।
২) ফোকাস ধরে রাখতে ঘুম অপরিহার্যঃ পরিমিত ও সময় মতো ঘুম আমাদের মন ও শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। পরিমিত ঘুম না হলে আমরা আমাদের কোনো কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারবোনা তাই ফোকাস ধরে রাখতে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম অতিব জরুরী।
৩) নিরিবিলি পরিবেশ তৈরী করে নিতে হবেঃ কোলাহল মুক্ত, নিরিবিলি স্থানে বসে আমাদের কাজ সম্পাদন করতে হবে । যদি আশে পাশে মানুষজন থাকে , এরকম পরি বে শ পাওয়া সম্ভব না হয় তবে অবশ্যই আমাদে র
আশে পাশের মানুষকে অবহিত করে রাখতে হবে যে , আমরা কাজে বসেছি ।
৪)ব্যায়াম করতে হবেঃ ফোকাস বা মনোযোগ বৃদ্ধিতে ব্যায়াম খুবই জরুরী বিষয়। নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারলে আমাদের মনোযোগ অনেকাংশে বেড়ে যেতে থাকবে । মনোযোগ বৃদ্ধিতে আমরা সাতার কাটতে পারি , দৌড়াতে পারি , সাইকেল চালাতে পারি অথবা অন্যন্য সাধারন ব্যায়াম করা যেতে পারে ।
৫) কাজকে ছোট ছোট আঁকারে বিভক্ত করে নিতে হবেঃ আমরা মনোযোগ সহকারে যে কাজটি সম্পাদন করতে চাই সেই কাজটিকে ছোট ছোট ভাবে বিভক্ত করে নিতে হবে । একটানা দীর্ঘসময় ধরে মনোযোগ ধরে রাখা যায় না। তাই আমাদের উচিত কাজের ফাকে ফাকে বিরতি দিয়ে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে কাজ সম্পন্ন করা।
৬) মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবেঃ আমরা জানি যে , যেকোনো কাজ শুরু করার আগে আমাদের মস্তিস্ককে প্রস্তুত করে নিতে হয়। এক্ষেত্রে আমরাদের স্বাচ্ছন্দ্য ও স্বস্তি লাগে এরকম একটি জায়গায় বসে গভীরভাবে নিঃশ্বাস নিতে হবে যাতে করে আমাদের নিঃশ্বাস পাকস্থলি পর্যন্ত পৌছায়। ২ মিনিট এই প্রক্রিয়াটি অনুসরন করে আমাদের শরীর ও মনকে শান্ত করে নিয়ে কাজ করলে কাজে মনোযোগী হতে পারবো।
এছাড়াও কাজের প্রাধান্য অনুসারে তালিকা করুন, কাজের মাঝে ছোট ছোট বিরতি নিন, কাজে র চাপ না নিয়ে, মাথা থেকে দুশ্চিন্তা দূর করে পরিস্কার মন নিয়ে কাজে করুন। আমাদের ব্যাক্তিগত অথবা কর্মজীবনে এই বিষয় গুলো মেনে চললে আমরা আগের থেকে অনেক সুন্দর ভাবে মনোযোগ ধরে রাখতে পারবো।