ওজন বাড়ানোর উপায় ?

শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখা প্রতি টি মানষেুষের জন্য অত্যন্ত জরুরী। স্বাভাবিকের
চেয়ে ওজন কম হলে সেটি আমাদের জন্য অনেক অসস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাই
আমাদের ওজন ঠিক রাখতে হয়। অনেকের ওজন বয়স এবং উচ্চতার তুলনায় অনেক
কম থাকে, আসুন জেনে নেই কি কি খাবার খেলে ওজন বাড়াতে পারবে ন। এখানে, কোন খাবার খেলে ওজন বাড়াতে পারবেন সেই সম্পর্কে বলা হয়েছে।


আমাদের প্রতিদিনের স্বাভাবিক খাদ্য তালিকায় আমরা সাধারনত যেসব খাবার খেয়ে
থাকি সেই খাবার গুলোর সাথে ওজন বৃদ্ধির জন্য আমরা দধু, কলা, ডিম, খেজরু, ডাল,
টক দই, বাদাম, কিসমিস এবং সর্বোশেষ বিভিন্ন ধরনের বীজ খেতে পারি। নিচে খাবার
গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হলোঃ

দধু: দধু ওজন বাড়াতে অনেক সাহায্য করে । শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরনের পুষ্টি উপাদানই দুধে পাওয়া যায়। দুধে প্রচুর ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি -১২আছে । তাই ওজন বাড়ানোর জন্য খাবারের সাথে এক গ্লাস দধু খাওয়া যেতে পারে ।

কলা: কলা খুব সহজলভ্য, বাজারে সারা বছরই পাওয়া যায়। কলা খাওয়ার আগে কেটে
নেওয়ার ঝামেলা না থাকায়, সহজেই যেকোনো সময় ১টা বা ২টা কলা খেয়ে ফেলা
যায়। ওজন বাড়ানোর জন্য কলা খুবই উপকারি একটি ফল। কলা এক ধরনের
প্রিবায়োটিক — অর্থাৎ, উপকারী জীবাণুর খাদ্য।

ডিম: ডিম সুলভ মূল্যে পাওয়া যায় এবং প্রায় সব খাবারের সাথেই খাওয়া যায়। তাই
ওজন বৃদ্ধির জন্য সকালের নাস্তার সাথে ডিম খেয়ে নেওয়া যেতে পারে । ডিম হচ্ছে
প্রকৃতির মাল্টি ভিটামিন কেননা এতে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল থাকে ।

খেজর: খেজুর একটি অসাধারণ পুষ্টি গুণের ফল। এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,
আয়রন, ফলিক এসিড, আছে খেজুরে ফাইবার বা আঁশ থাকে । সকালে কয়েকটা খেজুর
খেয়ে নিলে ওজন বাড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে ।

ডাল: ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রটিন বা আমিষ, আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজসহ
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে । পাতলা ডালের তুলনায় ঘন ডাল খাওয়া ভালো।
ডাল এক ধরনের প্রিবায়োটিক — অর্থাৎ, উপকারী জীবাণুর খাদ্য।

টক দই: টক দই দধু দিয়ে বানানো, তাই এতে দুধের পুষ্টি গুলো থাকে । টক দইতে অনেক
উপকারী জীবাণুথাকে । তবে মিষ্টি দই এড়িয়ে চলা গেলে ভালো। মিষ্টি দইতে সাধারণত
প্রচুর পরি মাণে চিনি দেয়া থাকে ।.

বাদাম: ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম খুবি উপকারী একটি খাবার। বাদামে স্বাস্থ্যকর
ফ্যাট আছে , অনেক ধরনের মিনারেল, ভিটামিন, ফাইবার আছে । চিনাবাদাম,
কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম ছাড়াও সুবিধামত যেকোনো ধরনের বাদাম
খাওয়া যাবে । তাই ওজন বাড়ানোর জন্য নাস্তায় কয়েকটা বাদাম খেয়ে নিতে পারেন।

কিসমিসঃ কিসমিস যেহেতু আংগুর ফল শুকিয়ে বানানো হয়, অল্প পরিমাণ কিসমিসেই অনেক ভিটামিন আর মিনারেল থাকে। কিসমি খাবারে যোগ করতে পারলে ওজন বাড়াএত সেটা অনেক সহায়তা করবে। নাস্তার জন্য বাদামের সাথে কিসমিস মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

বীজ: ওজন বাড়ানোড় আরেকটা উপায় হল খাবারের সাথে বিভিন্ন ধরনের বীজ যুক্ত করা। সম্ভব হলে মিষ্টি কুমড়ার বিচি , সূর্যমখুীর বিচি , তিসির বীজ, তিলের বীজ খাওয়া যেতে পারে । একেকটা বীজ একেক ধরনের পুষ্টি বহন করে । তাই ওজন বাড়ানোর জন্য বীজ অনেক গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে ।

Leave a Reply