রিডার্স ব্লক কী এবং কেন হয়?

হাতের কাছে অনেক বই, অঢেল সময়। কিন্তু পড়তে গেলেই যত সমস্যা। কোনোমতে একটা প্যারাগ্রাফও পার করা সম্ভব হচ্ছে না। এমন কোনো বইপ্রেমী নেই, যিনি কখনো না কখনো এই অদ্ভুত সমস্যার মুখোমুখি হননি। বই পড়তে না পারার এই সমস্যার নাম ‘রিডার্স ব্লক’ বই পড়তে পড়তে হুট করে আটকে যাওয়া সচরাচর ঘটনা। কিন্তু মাসের পর মাস একটি বই নিয়ে পড়ে থাকা, নতুন কোনো বই শুরু করতে না পারা -বইপ্রেমীদের জন্য এ যেন ভয়ানক এক দুঃস্বপ্ন।

রিডার্স ব্লক কেন হয়?

রিডার্স ব্লকের উৎপত্তি হতে পারে যেকোনো জায়গা থেকে। তবে তা চোখে পড়ে মূলত নতুন বই শুরু করতে গেলে কিংবা কিছুদিন বাদে নতুন করে পড়া শুরু করতে গেলে। একেকজনের ক্ষেত্রে একেক কারণ থাকতে পারে। পুরোনো বই শেষ করেই নতুন কোনো বই হাতে নিলে রিডার্স ব্লক তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না।

১. আগের বইয়ের রেশ থেকে যাওয়া:
বিশাল কোনো একটা উপন্যাস শেষ করার পর তার রেশ থেকে যায় অনেক দিন। তখন চাইলেও নতুন বইয়ে ঢুকে পড়া সম্ভব হয় না। পুরোনো বই শেষ করেই নতুন কোনো বই হাতে নিলে রিডার্স ব্লক তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না।

২. গল্প টানতে ব্যর্থ হলে:
প্রতিটি বইয়ের গল্পের গাঁথুনি সমান হবে না। কোনো গল্পের গাঁথুনিতে মুগ্ধ হয়ে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা পড়ে ফেলা সম্ভব হয়। আবার কোনো বই অতটা টানে না। তখন সাময়িক রিডার্স ব্লক তৈরি হয়।

৩. টানা একই ধরনের বই পড়া:
একই লেখক অথবা একই জনরার কয়েকটি বই টানা পড়লে মনের মধ্যে একই প্যাটার্ন গেঁথে যায়। একই প্যাটার্নের কারণে তখন বইয়ের প্রতি বিতৃষ্ণা কাজ করতে পারে।

৪. ব্যক্তিগত সমস্যা:
অনেক সময়ই পাঠক বই পড়তে শুরু করেন পারিপার্শ্বিক সমস্যা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে। সে সময় গল্পের গাঁথুনি ভালো হলেও তা আপনার মন ছুঁয়ে নাও যেতে পারে। সেখান থেকে রিডার্স ব্লক তৈরি হওয়া অমূলক নয়। মানসিক অস্থিরতায় ভুগলেও রিডার্স ব্লক হতে পারে।

সূত্র: মেন্টাল ফ্লস ও গুডরিডস অবলম্বনে।

Leave a Reply